বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবন এক মহান আত্মত্যাগের ইতিহাস। বাংলার মানুষের কল্যাণে নিজের পরিবারের রক্তও বিলীন করে গেছেন তিনি। তার আদর্শকে আমাদের ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জ সমিতি, ঢাকার আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেন, আগষ্ট বাঙালির জীবনে শোকাবহ মাস। ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ বাঙালির জীবনে কলংকময় অধ্যায় শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু এমন এক আদর্শ যার মৃত্যু নেই।
তিনি বলেন, শুধু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষ পালনই নয়, বরং এই যে ধারা তা আমাদের সকলকে আগামীর প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে হবে। জনগনের সেবার আমাদের কাজ করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে দেশের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জ সমিতি, ঢাকা সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে বন্দুকের, যারা ট্রিগার চেপেছিলো তাদের। কিন্তু এই ঘটনার পেছনে যারা ছিলো, তাদের বিচার আজও হয়নি। অপরাধী মৃত ব্যক্তি হলে তার বিচার হবে না কেন? বিচার হোক, হয়তো কার্যকর হবে না, কিন্তু সবকিছু উম্মোচিত হোক।
তিনি আরও বলেন, একজন নাগরিক ও এই পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি দাবি করি, মৃত হলেও যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলো, তাদের বিচার হতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পেছনে তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ইন্ধন ছিলো বলে মন্তব্য করেন তিনি।