গতকাল শুক্রবার (২ জুলাই) থেকে আজ (৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশে করোনা প্রতিরোধী ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার টিকা এসেছে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ ডোজ। আর চীনের সঙ্গে কেনা চুক্তির আওতায় দুই ফ্লাইটে সিনোফার্মের টিকা এসেছে ২০ লাখ ডোজ।
এছাড়া দেশে আগে আসা টিকার মধ্যে এই মুহূর্তে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড অবশিষ্ট রয়েছে ৯০ হাজার ৭২ ডোজ, ফাইজারের রয়েছে ৯৯ হাজার ৬৭৮ ডোজ আর সিনোফার্ম রয়েছে ১০ লাখ ছয় হাজার ১৬২ ডোজ। সে হিসেবে সব মিলিয়ে দেশে মোট টিকা রয়েছে ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯১২ ডোজ।
গত ১ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মডার্না এবং চীনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৪৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসার কথা জানান।
দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ২৭জানুয়ারি। এরপর সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ডের মাধ্যমে।
কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তিন কোটি ডোজ টিকা রফতানি করবে এবং সে অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পায়নি। সেরাম থেকে কেবল জানুয়ারিতে ৫০ লাখ, ফেব্রুয়ারি এসেছে ২০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ চুক্তির তিন কোটি টিকারম মধ্যে পেয়েছে মাত্র ৭০ লাখ টিকা। তবে দেশে আসা কোভিশিল্ডের এক কোটি দুই লাখ ডোজের মধ্যে বাকিটা ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেওয়া।
টিকার সংকটের মধ্যে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টিকার জন্য যোগাযোগ শুরু করে। যার মধ্যে অন্যতম চীনের সঙ্গে টিকা কেনার জন্য চুক্তি। এ চুক্তির আওতায় দেশে সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ এলো। তবে এর আগে বাংলাদেশকে ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিয়েছে চীন। সেখান থেকে পাওয়া টিকার মাধ্যমে দেশে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
গতকাল কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মডার্নার টিকা আসার আগে এ সুবিধায় গত ৩১ মে দেশে আসে ফাইজার বায়োএনটেকের এক লাখ ৬০২ ডোজ টিকা। সে টিকাও দেওয়া শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১ জুলাই জানায়, দেশে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে এক কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৮ ডোজ। হাতে রয়েছে মাত্র ৯০ লাখ ৭২ হাজার ডোজ।
ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে ৯২৪ জনকে। সে হিসেবে ফাইজারের টিকা হাতে রয়েছে ৯৯ হাজার ৬৭৮ ডোজ আর সিনোফার্ম দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৮ ডোজ। সে হিসেবে গতকালের সিনোফার্ম বাদ দিয়ে হাতে রয়েছে ১০ লাখ ছয় হাজার ১৬২ ডোজ।