আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭ থেকে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে আশা করি ৭-৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করতে পারব বা আরও বেশি করতে পারি, যদি ভ্যাকসিন এভেইলেবল হয়।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা দেশে আসবে। তিনি বলেন, এ মাসে কিছু আসবে, বাকিগুলো সেপ্টেম্বরে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ দিনে ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে এবং অনেক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চায়নাতে নতুন ৬ কোটি ডোজের অর্ডারসহ মোট সাড়ে ৭ কোটি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের অফার দিয়েছে, আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করব কি না। সেগুলো আমাদের কিনে নিতে হবে। আমরা সেখান থেকে ৩ কোটি সিনোফার্ম টিকা পাব। আরও সাড়ে সাত কোটি ফাইজারের টিকা বিনামূল্যে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন যেভাবে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি এবং অর্ডার দিয়েছি তাতে আগামীতে খুব একটা অভাব দেখা দেবে না। যদি ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে যাই, তাহলে আমরা ৮ কেটি লোককে দিতে পারব। এই ভ্যাকসিনগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা। কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন, যেটা ফ্রি আসবে, সেটাও কিছু পাব।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, আমরা ফ্রন্টলাইনারদের দিচ্ছি। সব কারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পাক এবং সুরক্ষিত থাকুক।