মরুর বুকে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ উপভোগ করতে আগ্রহী দর্শকরা দিনে দিনে পরিচিত হচ্ছেন অনেক নতুনের সঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পাড়ি জমানোর আগে ফুটবল ফ্যানদের স্থানীয় কঠোর নিয়ম মনে করিয়ে দিয়েছে খোদ ফিফা।
প্রকাশ্যে মদ গ্রহণ যেমন নিষেধ তেমনি অবৈধ শারীরিক সম্পর্কও ভয়াবহ অপরাধ। আইন লঙ্ঘন করলে হতে পারে সাত বছরের জেল। ইউরোপে স্বাভাবিক হলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জনসম্মুখে নারী-পুরুষের অন্তরঙ্গ হওয়াকে। সেটাও অপরাধ। কোনো দেশের নাগরিকদের জন্য আইনে ছাড় থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি আয়োজকদের।
শুধু তাই নয় নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে পার্টিও। ইসলামি আইন অনুযায়ী কাতারে যা একেবারেই অবৈধ। এছাড়াও সমকামিরা কেউই তার সঙ্গীকে নিয়ে ঢুকতে পারবেন না কাতারে। এখানেও নিয়ম না মানলে আছে শাস্তি।
কাতার বিশ্বকাপের সিইও নাসের আল খাতের বলেন, প্রত্যেক দর্শকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে স্থানীয় নাগরিকদের বিষয়টিও আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে। বহিঃবিশ্বে অনেক কিছুই বৈধ যা কাতারের সংস্কৃতির অংশ নয়। যাকে সবার সম্মান করা উচিত।
এর আগে, সম্প্রতি মাদক নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কাতার। নেশাজাতীয় দ্রব্য নিয়ে ধরা পড়লে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানা থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে, বিশ্বকাপের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবলারদের নিয়ে ঘৃণা ছড়ানো রোধে আরও সতর্ক অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। এজন্য ফিফপ্রো'র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ চলাকালীন খেলোয়াড়দের নিয়ে কেউ ঘৃণামূলক কোন পোষ্ট করলে সয়ংক্রিয়ভাবে তা খুঁজে বের করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ প্রযুক্তি।