ঈদের লম্বা ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। এবার ট্রেনযোগে বাড়ি যাওয়ার পথের যাত্রাটা স্বাচ্ছন্দ্য না হলেও ঢাকা ফেরাটা হচ্ছে স্বস্তিতে। গতকালের (মঙ্গলবার) চেয়ে আজ (বুধবার) কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ ছিলো বেশি। তবে রেলস্টেশনে তেমন ভিড় ছিল না।
সময়মতোই ট্রেনগুলো কমলাপুর এসে পৌঁছেছে। সকালে ঠিক সময়েই কমলাপুর এসে পৌঁছেছে নীলসাগর এক্সপ্রেস। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই ছিল। স্টেশন থেকে সময়মতো ছেড়ে এসে ঠিক সময়েই ঢাকা পৌঁছেছে ট্রেনটি।
যথাসময়ে ঢাকা এসেছে যমুনা এক্সপ্রেসও। যাত্রীরা বলেন, ট্রেনে কোনো বাড়তি ভিড় নেই। নির্বিঘ্নেই ঢাকায় পৌঁছেছি। আজ বা কাল থেকে যাত্রীর চাপ অনেক বাড়বে।
কমলাপুর স্টেশন মাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, আজ ঢাকা ছাড়ার যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক। কিন্তু আসার যাত্রী বেশি। আগামী শুক্র ও শনিবার আসার যাত্রী সবচেয়ে বেশি হবে। এখন ট্রেন চলাচলে কোনো বিপর্যয় নেই। আজ মোট ৪১ জোড়া ট্রেন আসা-যাওয়া করবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহসড়কে গাড়ির চাপ কম থাকায়, উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা স্বস্তি নিয়ে ঢাকা ফিরছেন।
অন্যদিকে, লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে মানুষের ভিড় অনেকটাই কম।
ভোর থেকে সদরঘাটে ভিড়েছে, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা লঞ্চ। দৌলতদিয়া ঘাটেও নেই যাত্রীবাহী পরিবহণগুলোর বাড়তি চাপ। তবে, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে কিছুটা।
এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক খুলেছে গতকাল। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে অফিসগুলোতে উপস্থিতি ছিল হাতে গোণা। অনেকেই অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে থেকে গেছেন। তবে আগামী শনি ও রোববার চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।