যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম ক্রমাগত কমছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দেশটিতে প্রতি গ্যালন গ্যাসের মূল্য নেমেছে ৪ ডলারের নিচে। গত মার্চের পর যা সর্বনিম্ন।
নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে মুদিপণ্যের মূল্য থেকে শুরু করে বাড়ি ভাড়া আকাশচুম্বী হয়েছে। তাই গ্যাসের দর কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মার্কিন নাগরিকরা।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতি গ্যালন গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৩ দশমিক ৯৯ ডলারে। যদিও গত এক বছরের মধ্যে তা সর্বোচ্চ। তবে গত মার্চের পর সর্বনিম্ন।
সাধারণত, জ্বালানির দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের মূল্য নিম্নমুখী হওয়া মার্কিন নীতি নির্ধারকেদের জন্য সুখবর। কারণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দরে লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্যও সুসংবাদ। কারণ, বিশ্ববাসীর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতি জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্ববাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে অনুরোধ করেছেন বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা।
সাম্প্রতিক সময়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের চাহিদা কমেছে। অধিকাংশ নাগরিক গাড়ি নিয়ে বাইরে হচ্ছেন না। গ্যাস পরিচালিত কর্মকাণ্ডও কমেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে পর্যায়ক্রমে কমছে তেলের দাম। ফলে দেশটিতে গ্যাসোলিনের মূল্যও হ্রাস পাচ্ছে।