দলের ভেতর থেকেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এমতাবস্থায় কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তবে মন্ত্রী ও এমপিদের সমর্থন হারালেও এখনই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন না জনসন।
এই গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর আগামী অক্টোবরে পার্টির সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মাঝখানের এই পুরোটা সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন জনসন। এর আগে তার সরকারের কয়েক ডজন মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পদত্যাগ করার পর ব্যাপক চাপে পড়েন তিনি।
জনসনের মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরাই তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সবশেষ নতুন নিয়োগ পাওয়া অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউয়িও জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি ব্যক্তিগত এক মিটিংয়ে জনসনকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। কিন্তু তার কথা শোনেননি জনসন। এতে তিনি ‘মনে কষ্ট’ পেয়েছেন।
এদিকে জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানালেও মন্ত্রিসভায় থাকবেন নাদিম। তবে পদত্যাগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মিশেল ডনলেন। নাদিমকে অর্থমন্ত্রী করার পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন মিশেল।