চলতি বছরের শেষদিকে অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম কমবে। এসময়ে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়ায় প্রতি টন পাম অয়েলে ৪ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত হ্রাস পাবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার টাকা।
পাম অয়েল শিল্প বিশেষজ্ঞ দোরাব মিস্ত্রে এ প্রত্যাশা করছেন। তার বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদনে সেই তথ্য জানা গেছে।
ইউওবি কে হিয়ান (ইউওবিকেএইচ) গবেষণার সবশেষ প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ মিস্ত্রে উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ৪ হাজার রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) কমতে পারে।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় ভালো উৎপাদন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিথিল হওয়ায় আশায় এ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ মিস্ত্রে বলেন, অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় চলতি বছর ইন্দোনেশিয়া ৩ মিলিয়ন টন পাম অয়েল বেশি উৎপাদিত হবে।
তিনি যোগ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যদি আর ৯০ দিন অতিক্রম না করে, তাহলে এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইউক্রেনের সূর্যমুখী তেল বিশ্ববাজারে প্রবেশ করবে।
তবে চলমান যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ভোজ্যতেলের চাহিদা আরও খারাপ হতে পারে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে সূর্যমুখী তেলের জোগান সীমিত হয়ে পড়েছে।