ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা মাদক মামলায় গ্রেফতার ওয়ার পর তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, প্রথম দফায় চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুই তিন ও তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত দীর্ঘ সময় রিমান্ডে নেওয়া হয়ে থাকে। পরীমনিকে এতদিনের রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের চেতনা, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার লঙ্ঘন। এ কারণে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা এবং তিন দফায় পরীমনির ১৯ দিন রিমান্ডের প্রার্থনা কেন বেআইনি হবে না এবং আদালতে পরীমনিকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া কেন বেআইনি হবে না, সে বিষয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে রোববার (২৯ আগস্ট) এ আবেদন জানানোর পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব।
একই আদালতে মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি মহানগর দায়রা জজ আদালতে অবিলম্বে করতে রুল বিবেচনাধীন রয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর ওই রুল নিয়ে শুনানির দিন ধার্য আছে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে ২৬ আগস্ট ওই আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এতে বিলম্বে দিন নির্ধারণ করার বৈধতা চ্যালেঞ্চ করা হয়েছিলো। এরপর আদালত রুল জারি করেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পরদিন আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য আরও একটি আবেদন দেন কিন্তু সেটিরও শুনানি হয়নি।
গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এরপর ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।