পদ্মাসেতু নির্মাণে রাজনৈতিক ও কারিগরি উভয় চ্যালেঞ্জই ছিলো বলে জানিয়েছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা। তারা বলেছেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে দেশীয় অর্থায়নে সর্ববৃহৎ প্রকল্প- পদ্মা সেতু।
রাজধানীতে একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। পদ্মা সেতুর স্বপ্ন থেকে বাস্তবতা, পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন- নানা বিষয় নিয়ে গ্রন্থটি লিখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (২৬শে জুলাই) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ শীর্ষক বইটির মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, দুর্নীতির মিথ্য অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে। বিদেশিরা বললেই তা সব সবসময় সঠিক নয়, এই শিক্ষা হয়েছে আমাদের। টাকা পাচার হচ্ছে বিদেশিরা অভিযোগ তুললেও তথ্য চাইলে প্রাইভেসির অজুহাতে তথ্য দেয়নি। দুর্নীতির ঢালাও অভিযোগ করলেও তা সব সময় মানার সুযোগ নেই। অভিযোগ কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালির গৌরব, সক্ষমতার প্রতীক। নিজ অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ হওয়ায় নিজের ওপর বিশ্বাস সুদৃঢ় হয়েছে বাঙালির। বাংলাদেশের সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে বিশ্বের কাছে।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৬ কোটি মানুষের আবেগ জড়িত এই সেতুর সাথে। সেতু নির্মাণে চ্যালেঞ্জ যেমন প্রকৌশলগত ছিল, তেমনি রাজনৈতিকও ছিলো। তবে সুযোগও তৈরি হয়েছে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার। বিশ্বব্যাংক বা বিদেশি সংস্থা কাজটি করলে যা হতো না।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই দৃঢ় ছিলেন। যারা এ নিয়ে বিরোধীতা করেছে তারা অধীনস্ত মানসিকতা থেকে বিরোধীতা করেছে।