সরকার পতন ঠেকাতে ক্ষমতাসীনরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীদের মাঠে নামাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংহের পাগলায় দলীয় দুইটি কর্মসূচিতে স্থানীয় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার (১৫ জুলাই) দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও তাদের সাজানো প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংস পন্থা অবলম্বন করেছে। এমনকি পবিত্র ঈদের আগে ও পরে আওয়ামী সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত স্তিমিত হয়নি।’
‘প্রচন্ডবেগে গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণকে ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। এই সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে তাদের পতন এখন অতি সন্নিকটে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির দোয়া মাহফিলে বাঁধা প্রদানের ঘটনায় পুলিশ এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে বানচাল করতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে যা নজিরবিহীন। একইভাবে ময়মনসিংহের পাগলায় দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহবায়ক আখতারুজ্জামান বাচ্চু, তার মাসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা এবং তাদের ৪০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্র রূপ প্রকাশ পেয়েছে।’
‘‘বর্তমানে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থ পাচার আর মহাদুর্নীতিতে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে যে, সেটিকে আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের উপরিকাঠামো তৈরি করেছে। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে, নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।’
বাগমারা ও পাগলার ঘটনায় সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
গত ১৪ জুলাই রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং ১৩ জুলাই ময়মনসিংহের পাগলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ঘটনা ঘটে।