প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা খেতে চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে শর্ত দেন- নির্দলীয় সরকার মেনে নিতে হবে। তাহলে চা খেতে চা খাওয়াতে অসুবিধা নেই। অন্যথায় চা খাওয়ার কথা বলে লাভ নেই।
রবিরাব (২৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাবের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চায় তাহলে বাধা দেব না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে চা খাওয়াব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চোখে সর্ষের ফুল দেখা শুরু করেছে। আগে পদত্যাগ করুন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। চা খেয়ে সময় নষ্ট করে কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, সবাইকে আহ্বান করছি। এই ডাকাতদের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, শতকরা ৫১ভাগ জ্বালানি আসে গ্যাস থেকে। এলএনজি আমদানির কমিশন পেতে গত ১৪ বছরে তারা গ্যাস উত্তোলন করেনি। নজর দিয়েছে কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশ পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতি লুটপাটের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। অন্যদিকে দেশকে সিঙ্গাপুর কুয়ালামপুর বানানোর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ শ্রীংলকা প্রায় এক। শাসক দুর্নীতি লুটপাট করছে, প্রতারণা করছে। জ্বালানির ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। তাই বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামে সাত আট ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। সারকারখানা বন্ধ থাকায় সংকট দেখা দেবে। বোরো ধান উৎপাদন ব্যাহত হবে।