ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর এবার দোনেৎস্কে বিশেষ অভিযান চালাতে রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। ইতিমধ্যে রুশ বাহিনী ওই অঞ্চলে অভিযান জোরদার করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর লুহানস্ক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয় রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া তাদের ‘কোন বিকল্প নেই’।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। অঞ্চলটিকে ‘মুক্ত’ করায় রাশিয়ান সৈন্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। লুহানস্ক নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর, এবার ওই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দোনেৎস্কে রুশ বাহিনীকে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, লড়াই করা ছাড়া তাদের আর ‘কোন বিকল্প নেই’। ইউক্রেনের সেনারা দোনেৎস্কের বাখমুত এবং স্লোভিয়ানস্ক এলাকায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন, লুহানস্কের গভর্ণর সের্হি হাইদাই।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছেন, লুহানস্ক যুদ্ধে গত দুই সপ্তাহে ইউক্রেনের সাড়ে ৫ হাজার সৈন্য মারা গেছে। ডনবাসে গত দুই সপ্তাহে ধ্বংস হয়েছে ১৯৬টি ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং ১২টি বিমান। তিনি আরও জানান, লিসিচানস্ক শহর থেকে পিছু হটার সময় ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ৩৯টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান ফেলে গেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেন পুনর্গঠনে ৭৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। পুনর্গঠন কার্যক্রমের অর্থায়নের একটি অংশ রাশিয়ান ধনবকুবেরদের বাজেয়াপ্ত করা সম্পদ থেকে দেয়ার দাবি করেছেন তিনি।
এছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন বন্দর থেকে শস্য রপ্তানি করতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের সাথে আলোচনা করছে ইউক্রেন।