ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি আরো বেড়েছে। একইসাথে বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে দেশের সাতটি নদীর পানি। এতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা ও চরাঞ্চল। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। এছাড়া, অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পারের মানুষ।
দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী বহু এলাকা। পানিবন্দি রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সদর, কালিহাতি, নাগনপুর, ভ‚ঞাপুর ও বাসাইল উপজেলার নিম্নাঞ্চল। সেইসাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েছে। জেলার কয়েকটি উপজেলার নিমাঞ্চলে হাজারো মানুষ এখন পানিবন্দি। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
গাইবান্ধায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বাড়ায় জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় বাড়ীঘরে পানি ঢুকছে।
নাটোরে পদ্মার পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেখা দিয়েছে খাবার পানির ও গবাদি পশু খাদ্যের সংকট। তলিয়ে গেছে রোপা আমন, আখ ও উঠতি ফসলের জমি।
ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ডুবে আছে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থচ্যানেল, চরমাধবদিয়া ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম।
এদিকে, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দুই ঘাটেই দেখা দিয়েছে যানবাহনের বাড়তি চাপ।