বাংলাদেশ মোট জনসংখ্যায় পুরুষের থেকে নারীর সংখ্যা বেশি। নারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৯ জন বেশি। অর্থাৎ ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ ৯৮ জন। গত এক দশকে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড, শাহনাজ আরেফিন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন পুরুষ, আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন নারী এবং ১২ হাজার ৬২৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী।
বিবিএস জানায়, এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। সর্বশেষ ২০১১ সালের জনশুমারির অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন।
এতে আরও বলা হয়, দেশে ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে ১০০ জন নারী। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত ও ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। ৯১ দশমিক ৪ শতাংশ মুসলমান এবং ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হিন্দু। সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামে এবং পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন শহরে বাস করেন।
এ ছাড়া দেশে ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল এবং ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।