আগামী ৫ বছরে দেশের ৫ লাখ চাকুরিপ্রত্যাশী ও পেশাজীবীর কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধিতে সফট স্কীল প্রশিক্ষণ দেবে সরকার।
অতি সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়াদানী অপারেটিং ফাউন্ডেশন (ডব্লিউওএফ)’র মধ্যে বিসিসি’র প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম মাধ্যমে ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ লাখ চাকুরিপ্রত্যাশী ও পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বিসিসি’র লিভারেজিং আইসিটি প্রকল্প পরিচালক ও ডেটা সেন্টারের সিএ অপারেটিং এবং সিকিউরিটি পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ এবং ডব্লিউওএফ’র নির্বাহী পরিচালক ড. অজয় কেলা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
www.bdskills.gov.bd প্লাটফর্মে প্রশিক্ষণের রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহে এবং প্রশিক্ষণ শুরু হবে সেপ্টেম্বর থেকে।
সমঝোতা স্মারক ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার একটি বৈশ্বিক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ৫ বছরে চাকুরিপ্রত্যাশী ও পেশাজীবীদের গুণগত মানের সফট স্কীল প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে তাদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ ও নেতৃত্ব প্রদানে দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে রুপান্তরের ফলে আগামী এক দশকে দেশে এবং বিশ্ববাজারে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানী ডেটা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থনীতি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং পণ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। এর ফলে সফট স্কীলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বের হয়। এদের মধ্যে অনেকের সফট স্কিলে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। এজন্য বিপুল সংখ্যক চাকুরিপ্রত্যাশী এবং পেশাজীবীর সফট স্কীলে ঘাটতি পূরণে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। হার্ড স্কীলের মতোই সফট স্কীলে জ্ঞান প্রায় সব পেশার মানুষের জন্যই প্রয়োজন।
তারেক এম বরকতউল্লাহ বলেন, বিসিসি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষিত তরুণদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগের বাস্তবায়ন করছে। এ উদ্যোগের সঙ্গে যোগ হচ্ছে সফট স্কীলে প্রশিক্ষণ, যা চাকুরিপ্রত্যাশী ও চাকুরিজীবীদের সক্ষমতা ও দক্ষতা দুই-ই বাড়াবে।
এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ পুরো প্রশিক্ষণের সমন্বয় ও গুণগত মানের দেখভাল করবেন।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের গুণগত মান মনিটিরিং করার জন্য একটা টীম থাকবে। প্রশিক্ষণ পেয়ে যারা চাকুরিতে যোগ দেবেন তাদেরও ট্রাক করা হবে। আমরা গুণগত মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণকে অর্থবহ করতে চাই।