বরগুনার তালতলীতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) তালিকায় মিলেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রীর নাম। এরই মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম। তিনি মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভিজিডি কার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তালুকদার পাড়া গ্রামের গৃহবধূ খাদিজা বেগম।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার পরিবার হতদরিদ্র-দুস্থ। তার তিনটি সন্তান রয়েছে। আয়-রোজগার করার কোনো মাধ্যম নেই। তার নামে ভিজিডি কার্ড নেই। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীরা ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।
জানতে চাইলে সালমা বেগমের স্বামী শাহ নেওয়াজ সেলিম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড আছে। আমাদের নাম দিয়েছে চেয়ারম্যান।’
এ বিষয়ে বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (আলম মুন্সি) বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই কার্ড বাতিলের জন্য রেজুলেশন করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’
তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভিজিডির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষকের স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ডটি বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে।