তেল-গ্যাসের বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারের সমঝোতা স্মারকে সই করেছে ইরান ও রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) এবং রুশ গাজপ্রমের মধ্যে এ সমঝোতা স্বারক সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের কিশ ও উত্তর পার্স গ্যাসক্ষেত্র এবং ছয়টি তেলক্ষেত্রের উন্নয়নে এনআইওসিকে সাহায্য করবে গাজপ্রম। এছাড়া দেশটিতে গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণেও কাজ করবে রুশ প্রতিষ্ঠানটি।
ইরানের তেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির তেল শিল্প ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ চুক্তি এটি। চুক্তিটি ভার্চুয়ালি সই হয়েছে।
পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া বিষয়ক আস্তানা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল তেহরান সফরে আসেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন তিনি। এর মাঝেই কোনো এক সময় চুক্তিটি হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর এ প্রথম বিদেশ সফরে এলেন পুতিন। গত ৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে রুশ প্রশাসন। ঠিক সেসময়েই ইরান সফর করলেন তিনি।
রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে তেহরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দিচ্ছে মস্কো।
এনআইওসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসেন খুজাস্তে মেহর বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এই চুক্তি সই হয়েছে। এতে প্রমাণিত বিশ্ববাজার থেকে ইরানের তেলকে আলাদা করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমাদের তেলের ওপর বিশ্ব নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহে স্থিতিশীল ও নিরাপদ দেশে পরিণত হয়েছি আমরা।
মোহসেন খুজাস্তে মেহর জানান, গত সপ্তাহে গাজপ্রমের কর্মকর্তারা ইরান সফর করেন। ওই সময়ই ৪ হাজার কোটি ডলারের চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের তেল খাতের উন্নয়নে ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়। বর্তমানে সেটির বাস্তবায়ন চলছে।