এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ আগস্ট সই করা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অফিস আদেশটি আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সংশ্লিষ্ট অফিস এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের জন্য জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস আদেশে দপ্তর ও সংস্থা প্রধান, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা গুলো হচ্ছে : দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন এবং আশপাশের খোলা জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন, খোলা জায়গা, মাঠ, ফুলের টব, পানির পাম্প বা পানি জমে এরকম পাত্র, ফ্রিজ বা পানি জমার ট্রে, পানির ট্যাপের আশপাশের জায়গা, বাথরুম, বাথরুমের কমোড, গ্যারেজ, নির্মাণাধীন ভবন, লিফট, সিঁড়ি, পরিত্যক্ত বস্তু ইত্যাদি এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজনন স্থলে যাতে দুই দিনের বেশি সময় পানি না জমতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকরা অনলাইন/ভার্চ্যুয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কোভিড-১৯সহ ডেঙ্গু বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ জানাবেন। সকল দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন।
এছাড়া প্রাথমিকের জন্য সাতদফা নির্দেশনা : অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভবনা থাকে, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে, যেমন- প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, নারিকেল মালা, টায়ার ইত্যাদি। অব্যবহৃত পানির পাত্র, ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি জমতে না পারে। হাইকমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে। লোকমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্যকিছু দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
কোনও জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে, অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।