ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নেয়া পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে পণ্য আমদানি কমাতে না পারলে এসব প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হবে না বলেও মনে করছেন তারা। সেই সাথে গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থপাচার রোধের উপর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর অস্থির হয়ে ওঠে বিশ্ব অর্থনীতি। নিষেধাজ্ঞার কারণে জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি, পণ্য সরবরাহ বিঘিœত হওয়া এবং বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। আমদানিতে ব্যয় বাড়ায় বিশ্ব বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের মুদ্রা বাজারেও।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সম্প্রতি উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকার প্রতি ডলারের দাম ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করলেও গত বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ১১২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে অতি মুনাফা লোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। নেয়া হয়েছে আরও কিছু উদ্যোগ।
ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের এই পদক্ষেপ রাতারাতি বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এসব উদ্যোগ দীর্ঘ মেয়াদে বাজার ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও তারা মনে করেন।
এদিকে, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। সেজন্য আমদানি কমানোর পাশাপাশি রপ্তানির বাজার আরও বিস্তৃত করার পরামর্শ দেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত প্রতিটি সংস্থা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।