যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ব্রিটেনের পাউন্ডের দাম কমেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যা সর্বনিম্ন। ব্রিটিশ অর্থনীতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার মধ্যে পাউন্ডের দরপতন ঘটল। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ডলারের বিপরীতে স্টার্লিংয়ের মান কমেছে এক সেন্ট। বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ব্রিটেনের মুদ্রাটি ১ দশমিক ২০ ডলারের নিচে বিক্রি হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো এত মূল্য কমল ব্রিটিশ পাউন্ডের।
ব্রিটেনের চাকরি বাজারের পরিসংখ্যান এবং স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ওপর নতুন গণভোটের সম্ভাবনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।
যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ফেড) সুদের হার বাড়াতে পারে। এ খবরে দুই দশকের মধ্যে ডলারের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে ভিত্তি হারিয়েছে পাউন্ড।
এবার শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ বাড়াতে পারে ফেড। যদি এমনটি হয়, তাহলে তা হবে ১৯৯৪ সালের পর প্রথম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলার শক্তিশালী হওয়ার পর থেকেই চাপে রয়েছে স্টার্লিং। নেপথ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার। কারণ, মূলত এজন্যই ফের সুদের হার বাড়াতে যাচ্ছে ফেড।
১৯৮০ সালের পর ইংল্যান্ডেও মূল্যস্ফীতি চড়া। ফলে সুদের হার বাড়াতে পারে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও। এক্ষেত্রে দেশটির মুদ্রার অবমূল্যায়ন হতে পারে।