এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে পাকিস্তানের মুদ্রা। গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) দেশটির আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে আরও শক্তিশালী হয়েছে রুপি।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান বেড়েছে ২ দশমিক ১১ রুপি বা শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ।
ওয়েব-ভিত্তিক আর্থিক পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ পোর্টাল মেটিস গ্লোবালের পরিচালক সাদ বিন নাসের বলেন, এদিন পাকিস্তানি রুপি স্থিতিশীল আছে। কারণ, পাইপলাইনে প্রবাহ রয়েছে। রপ্তানি আয় হচ্ছে। রেমিট্যান্সও জমা হচ্ছে। আপাতত আন্তঃব্যাংকে কোনো আতঙ্ক নেই।
তিনি বলেন, তবু মানি চেঞ্জাররা যে ‘বড় গেম’ খেলছে তা সরকারকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাদের কারণে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন এবং লোকসান গুণছেন।
সাদ বিন নাসের বলেন, যখন আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ২৪০ রুপি ছিল, তখন মানি চেঞ্জাররা খোলাবাজারে তা ২৫০-২৫৫ রুপিতে বিক্রি করেছেন। এখন তারা ২১০ থেকে ২১৫ রুপিতে ডলার কিনছেন। আর ২২৫ থেকে ২২৬ রুপিতে বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, সামনের দিনগুলোতে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে রুপি আরও শক্তিশালী হবে। আবার পাকিস্তানি মুদ্রা প্রবাহ ফিরে পাবে।
গত ১৫ জুলাই থেকে ডলারের বিপরীতে রুপির মান কমছে। ২৮ জুলাই ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায় স্থানীয় মুদ্রাটি। তবে পরের দিন (২৯ জুলাই) থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর থেকে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার মান বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৫ রুপি।