জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে অফফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান দেখা পেয়েছেন ফর্মের। ব্যাটিংয়ে ভালো করার পর রবিবার বোলিংয়েও দারুণ একটি দিন কাটিয়েছেন। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং না করা তামিম দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নিজেকে ঝালিয়েছেন। ৩০ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন দেশসেরা এই ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে নামার আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একমাত্র উপায় ছিল দুইদিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচ। প্রথম দিন সাকিব-সাইফ-শান্ত-মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিং প্রস্তুতির পর দ্বিতীয় দিনে বোলারদের অনুশীলনটাও হয়েছে ভালোভাবে। বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশ অলআউট হয় ২০২ রানে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সাকিবের ফর্মে ফেরা।
ব্যাটিংয়ের পর রবিবার বোলিংয়েও দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার। নিয়ন্ত্রিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন। সাফল্য পেয়েছেন বোলিংয়ে এসেই। নিজের প্রথম ডেলিভারিতে ৩২ রান করা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তাকুদজওয়ানাশে কাইতানোকে ফেরান সাকিব। বিরতির এক ওভার পর তার ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ডিওন। সাকিবের তৃতীয় শিকার চানাকা চিভাঙ্গা। তিনি ৯ রান করে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। সবমিলিয়ে ৩৪ রান খরচায় সাকিব এই সাফল্য পান।
সাকিব ছাড়াও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ৩৩ রানে দুটি এবং তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন একটি করে উইকেট নেন। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবলমাত্র অধিনায়ক টিমিসেন মারুমাই কিছুটা লড়াই করতে পেরেছেন। ৫৮ রানের ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যান তাসকিনের শিকার হয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশকে ২০২ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং না করা তামিম দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিং করেছেন। ৩০ বল খেলে তামিমের সংগ্রহ দাঁড়ায় অপরাজিত ১৮। সবমিলিয়ে অনেকটাই সুস্থ ওয়ানডে অধিনায়ক। এখন সাত জুলাই শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্টে তার খেলা নিয়ে খুব একটা সংশয় নেই। অপরপ্রান্তে ১৩ বলে ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাদমান ইসলাম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সাকিব (৭৪) সাইফ (৬৫), শান্ত (৫২), মাহমুদউল্লাহর (৪০) ওপর ভর করে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করেছিল ৩১৩ রান।