বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে জয় দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু করলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গতরাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ডকে। নয় ম্যাচ পর ওয়ানডেতে জয়ের দেখা পেল ক্যারিবীয়রা। আর বিশ^কাপ সুপার লিগের সিরিজে প্রথমবারের মত হারের স্বাদ পেল নিউজিল্যান্ড। সুপার লিগে আগের নয় ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছিলো কিউইরা। ৯০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চমস্থানে নিউজিল্যান্ড। ২২ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বার্বাডোজে টস জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন ৪১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৫৩ রানের মধ্যে কিউইদের দুই ওপেনারকে বিদায় দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার আকিল হোসেন। গাপটিল ২৪ ও অ্যালেন ২৫ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। তাতে ১১৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ৪, টম লাথাম ১২ ও ড্যারিল মিচেল ২০ রান করেন।
অন্য ব্যাটাররা যাওয়া আসার মধ্যে থাকলেও এক প্রান্ত ধরে খেলছিলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে ৩০তম ওভারে উইলিয়ামসনকে থামান ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার আলজারি জোসেফ। ৫০ বলে ৩৪ রান করেন কিউই দলনেতা।
দলীয় ১২২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর নিউজিল্যান্ডকে সামনের দিকে টেনেছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল ও মিচেল স্যান্টনার। সপ্তম উইকেটে ৫২ বলে ৪০ রান যোগ করেন তারা। অষ্টম উইকেটে টিম সাউদির সাথে ৩৪ বলে ২৭ রান যোগ করেন স্যান্টনার। তবে জুটি বড় না হওয়াতে ১৯০ রানেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ব্রেসওয়েল ৩১, স্যান্টনার ২৫ ও সাউদি ১২ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আকিল-জোসেফ ৩টি করে ও জেসন হোল্ডার ২টি উইকেট নেন।
১৯১ রানের টার্গেটে শুরুতেই ধাক্কা খেলেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ৩৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। শাই হোপকে ২৪ রানে সাউদি ও কাইল মায়ার্সকে ৬ রানে বিদায় করেন ট্রেন্ট বোল্ট।
এরপর চার নম্বরে নামা কিচি কার্টিকে ১১ রানে থামিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলে দেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার স্যান্টনার।
৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাল ধরেন শামারাহ ব্রুকস ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ৮৭ বলে ৭৫ রান যোগ করেন তারা। সেখানে ৪৭ বলে ২৮ রান অবদান রেখে ফিরেন পুরান।
তবে এক প্রান্ত ধরে খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান ব্রুকস। হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস বড় করে ব্যক্তিগত ৭৯ রানে বোল্টের বলে বোল্ড হন ব্রুকস। ৯১ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।
ব্রুকস যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ১৯ রান দূরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে বাকী কাজটুকু সাড়েন জার্মেই ব্ল্যাকউড ও হোল্ডার। ব্ল্যাকউড ১২ ও হোল্ডার ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের বোল্ট-সাউদি ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ব্রুকস।
আগামী ২০ আগস্ট দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবারও নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।