জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশে। যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জুন মাসের বিধিনিষেধে নিত্যপণ্য পরিবহনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল। যার ফলে জুনে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে জুনের পরিবর্তে জুলাই মাসে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক থাকায় মূল্যস্ফীতি কমেছে। অন্যান্য মাসে মূল্যস্ফীতি এক খাতে কমলে আরেক খাতে বাড়ে। কিন্তু জুলাই মাসে সব খাতেই মূল্যস্ফীতি কমেছে।
জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যা গত জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। খাদ্যে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা জুন মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জুলাই মাসে খাদ্য বহির্ভূত ও খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। প্রসাধন সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার কমার ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে।