ওল্ড ট্রাফোর্ডে অধিকাংশ সময় অস্বস্তিবোধ করতেন ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা। বিশেষ করে শেষ কয়টি মৌসুম ছিল খুবই অস্বস্তির। তবে ২৯ বছর বয়সি এই তারকা জুভেন্টাসে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি গতকাল ব্যাখ্যা করার সময় যে হাসিটি তার মুখে ফুটে উঠেছিল তাই অনেক কিছু বলে দিয়েছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দীর্ঘ ছয় বছর কাটানোর পর ফের জুভেন্টাসে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে পগবা বলেন,‘ জুভেন্টাসে এসে মনে হচ্ছে আমি যেন নিজ গৃহে ফিরে এসেছি।’
বিনা ট্রান্সফারে সোমবার জুভেন্টাসের সঙ্গে নতুন চুক্তি সম্পাদন করেছেন পগবা। চার বছরের জন্য করা এই চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মৌসুমে ৮ মিলিয়ন ইউরো পাবেন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বোনাস হিসেবে থাকছে আরো ২ মিলিয়ন ইউরো।
পগবা বলেন,‘ ঘরে ফিরতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। জুভেন্টাসকে আমি আসলেই নিজের ঘর মনে করি। আপনারা নিশ্চয় দেখছেন মানুষ আমাকে কিভাবে বরণ করে নিচ্ছে। এটি আমার কাছে স্বপ্নের চেয়েও বেশী কিছু।’
এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জুভেন্টাসে সফল একটি স্পেল কাটিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সি পগবা। পরে তৎকালিন বিশ্ব রেকর্ড গড়া ১০৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন তিনি। প্রথম স্পেলে ওল্ড লেডিতে চারবার সিরি এ লীগের শিরোপা জয় করেছেন পগবা। সেই সঙ্গে জয় করেছেন ইতালিয় কাপের দুটি ট্রফি। ২০১৫ সালে ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও খেলেছেন পগবা।
অপরদিকে ফরাসি তারকার যেগদানের সময় প্রিমিয়ার লিগে পড়তির দিকে নিমজ্জত হচ্ছিল ইউনাইটেড। দীর্ঘ নয় বছর ধরে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা থেকে দূরে রয়েছে রেড ডেভিলসরা। সেখানে অবস্থানকালে তার অর্জন বলতে ছিল প্রথম মৌসুমে ইংলিশ লিগ কাপ ও ইউরোপা লিগের শিরোপা। তবে ইউনাইটেডের ওই বাজে সময় নিয়ে নিজের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই বলে জানিয়েছেন পগবা।
তিনি বলেন,‘ আমি নিয়তিতে বিশ্বাসী। আমি যা কিছু পেয়েছি তাতেই সন্তুষ্ট। জীবন এমনই। এটি নিয়ে আমি কখনো অনুতপ্ত নই। কখনো কখনো আপনি হয়তো এমন কিছু পছন্দ করেন, যেটি শেষ পর্যন্ত আপনাকে তৃপ্তি এনে দিতে পারে না। তবে সেখানে আমি যে সময়টা কাটিয়েছি তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ম্যানচেস্টারে আমি গড়ে উঠেছি। অনেক কিছু শিখেছি এবং নিজেকে পরিণত করেছি।’
জুভেনন্টাসও বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো সংগ্রাম করছে। সাদা কালো জার্সির দলটির একসময়ের আধিপত্য এখন আর নেই। ১০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা নয়বার রেকর্ড শিরোপা জয়ের পর গত দুই মৌসুম ধরে সিরি এ লিগে শীর্ষ তিনের বাইরে পড়ে আছে ওল্ড লেডিরা। ২০১৯ সালে পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালেও পৌঁছাতে পারেনি দলটি।