শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। আজ বুধবার (২৫শে মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এসময় নজরুলকে অসাম্প্রদায়িকতা, মানবতা ও সাম্যের কবি হিসেবে আখ্যা দেন তারা। বিশিষ্টজনেরা বলেন, নজরুলের মানবতা ও সাম্যের বাণী জাতীয় জীবনে অনুসরণ করলে সংকট ও অস্থিরতার অবসান সম্ভব।
বাঙ্গালির আবেগ, অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে। ১২৩তম জন্মবার্ষিকীতে কবির সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকে জানানো হয় শ্রদ্ধা।
বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনের শুরুতেই কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এসময়, নজরুলকে মানবতা ও সাম্যের কবি হিসেবে আখ্যা দেন তারা। জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কবির দুই নাতনি মিষ্টি কাজি ও খিলখিল কাজি। এসময় তারা কবির জন্মদিনকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানান। কবির রচনা বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার দাবি জানান তারা।
শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ। রাজনীতিতে কবির অবদান তুলে ধরেন তারা। বলেন, কবি নজরুলের লেখনী আন্দোলন-সংগ্রামে এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রেরণা। এদিকে, সমাধি প্রাঙ্গণে ‘বিদ্রোহীর শতবর্ষ’ প্রতিপাদ্যে স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়াজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৮৯৯ সালের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ার এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন তিনি। শৈশব ও কৈশোরের দুখু মিয়া, তারুণ্যে বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছেন। অস¤প্রদায়িকতা, সাম্য এবং মানবতার জয়গানে হয়ে উঠেন উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান কবি, আর আমাদের জাতীয় কবি। মাত্র ২২বছরের সাহিত্য জীবনে তাঁর যে স্বতন্ত্র ও বিশাল কর্মযজ্ঞ, তার ঐশ্বর্যময় দিপ্তীতে আজো আলোকিত বাংলা সাহিত্য।