করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবারও আছে বিধিনিষেধ মেনে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা। তাই জাতীয় ঈদগাহে লাখো মানুষের স্থলে মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার। তবে বৃষ্টি হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।
করোনার কারণে এবারও বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপ্রধান।
করোনার কারণে দুই বছর পর এবার কিশোরগঞ্জের শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানেও হবে ঈদ জামাত। রোববার সকাল ৯টায় শুরু হবে এই জামাত।
প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে পাঁচটি ঈদ জামাত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টায় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত শুরু হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভীকে।
সকাল ৯টায় শুরু হবে তৃতীয় জামাত। বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক এই নামাজে ইমামতি করবেন।
সকাল ১০টায় হবে চতুর্থ জামাত। যেখানে ইমামতি করবেন ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী।
আর পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতটি হবে সকাল পৌনে ১১টায়। এই নামাজের ইমামের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেমকে।
পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জামাত হবে সকাল ৮টায়। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ-সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ জামাতে অংশ নেবেন। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, স্থানীয় মুসল্লিরাও জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের দুটি জামাত হবে। প্রথমটি সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয়টি সকাল ৯টায়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ঈদের জামাতটি সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে হবে। আবহাওয়া ভালো না থাকলে বা বৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত তিনটি মসজিদে ঈদ জামাত হবে।
এ ছাড়া সারা দেশে জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং সরকারি সংস্থাগুলো জাতীয় কর্মসূচির আলোকে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ঈদ জামাতে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি
করোনাভাইরাসকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও সম্প্রতি আবারও বেড়েছে সংক্রমণ। তাই আগের বছরের মতো এবারও সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়েছে আট দফা নির্দেশনা।
সবাইকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে আসতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে।
ঈদের নামাজে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ঈদের নামাজ আদায়ের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁড়াতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করারও অনুরোধ জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনুরোধ করা হয়েছে।