মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের নতুন বিশেষ দূত মঙ্গলবার দেশটিতে প্রথম সফর শুরু করেছেন। জান্তা আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেতা অং সান সুচিকে দুর্নীতির দায়ে আরও ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয়ার এক দিন পর তিনি এ সফর শুরু করলেন। খবর এএফপি’র।
সোমবার রাতে দেয়া জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন দূত নোয়েলীন হেজার মিয়ানমারের অবনতিশীল পরিস্থিতি ও উদ্বেগপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি তার দায়িত্বের অগ্রাধিকার পাওয়া অন্য বিষয়গুলোর আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেবেন।
জান্তা সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে তিনি কারো সাথে বা সুচির সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা সে ব্যাপারে বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
গোপনতাপূর্ণ জান্তা আদালতে সোমবার সুচিকে আরেক মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে। এনিয়ে তার মোট কারাদ-ের মেয়াদ ১৭ বছরে দাঁড়ালো।
কূটনীতিক এক সূত্র জানান, সামরিক বাহিনী ঘোষিত রাজধানী নেপিদোতে হেজার বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক ব্লক আসিয়ানের (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস) নেতৃত্বে এ সংকট সমাধানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা তেমন এগোয়নি। জেনারেলরা বিরোধীদের সাথে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানানোয় এমনটা হয়েছে।
সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি দলের সাবেক আইনপ্রণেতা পিয়ো জেয়া থাউয়ের মৃত্যুদ- কার্যকর করায় গত মাসে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ফের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠে। সন্ত্রাসবাদ দমন আইনের আওতায় অপরাধ করার দায়ে তাকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
এর জবাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এক বিরল নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে। এ প্রস্তাবের প্রতি জান্তার মিত্র দেশ রাশিয়া ও চীন সমর্থন জানায়।