শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর ও সংস্থাগুলোর পূর্বপ্রস্তুতি এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানের কারণে এবার কোরবানির চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি। লবণ দিয়ে যথাসময়ে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণের সরবরাহ ছিল এবং কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি।
রোববার (২৫ জুলাই) শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে (ভার্চুয়ালি) এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চামড়া শিল্প দেশের অন্যতম একটি রফতানি এবং বহুমুখী সম্ভাবনাময় খাত। চামড়া শিল্পের অধিকাংশ কাঁচামাল (কাঁচা চামড়া) কোরবানির সময় সংগ্রহ করা হয়। আমাদের সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের এবং দফতর ও সংস্থার পূর্বপ্রস্তুতি এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানের কারণে এবার কোরবানির চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি। লবণ দিয়ে যথাসময়ে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণের সরবরাহ ছিল এবং কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি।
তিনি বলেন, জেলা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং ও টিম ওয়ার্কের কারণে চামড়া সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনায় এবার সুফল এসেছে। এ বছর প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালানো হয়েছে, ফলে আমরা কোরবানির চামড়া ব্যবস্থাপনার সুফল পেয়েছি।
চামড়া নিয়ে এ বছর কোনো অভিযোগ পাইনি : শিল্প প্রতিমন্ত্রী
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করায় এ বছর চামড়া নিয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। এবার চামড়া সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় সফল হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা চামড়ার সঠিক দাম পেয়েছেন।
শিল্প সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সহায়তায় এবং কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক সহযোগিতায় এবার কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।