শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীই নয়, দেশের মানুষও কোনদিন ভুলতে পারবে না গ্রেনেড হামলার সেই ভয়াবহতা। সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে কয়েক সেকেন্ডেই ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হয় রক্তাক্ত ইতিহাস হয়ে।
২১ আগস্টের সে ঘটনা যারা একেবারে কাছে থেকে দেখেছেন প্রায় দেড় যুগ পরও এতটুকুও পুরনো হয়নি তাদের সেই দুঃসহ স্মৃতি। বারবার ভেসে ওঠে ভয়াল সেই দৃশ্যপট। অনেকেই এখনও বয়ে চলেছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার। সেই স্মৃতি মনে হলে, এখনও শিউরে ওঠেন তারা।
শেখ হাসিনার সমাবেশের শুরু থেকেই মঞ্চের খুব কাছে ছিলেন নেতাকর্মীদের একাংশ, বিশেষ করে নারী কর্মীরা। সমাবেশ শেষে হওয়ার কথা ছিল, শান্তিপূর্ণ র্যালি, আর তাই পরপর বিস্ফোরিত ১৩টি গ্রেনেডের স্প্লিন্টার থেকে রক্ষা মেলেনি তাদের অনেকের। যার ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
দুঃসহ সেই স্মৃতি জানালেন নাসিমা ফেরদৌসী। তিনি বলেন, আমার পেটিকোটের ফিতে ছিঁড়ে পেটে ঢুকে যায় স্প্লিন্টার। পায়ের মাংসগুলি কেমন ছন্নছন্ন হয়ে যায়। চারিদিকে তাকিয়ে দেখি রক্ত আর রক্ত। এর পরেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, জ্ঞান ফিরলেই দেখি আমি লাশের ট্রাকে।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভয়াল সে গ্রেনেড হামলার আরেক সাক্ষী আমির হোসেন আমু। ঘটনার সময়, তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রাকেই দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। বলেন, ১৫ আগস্ট যারা বেঁচে গিয়েছিলেন তাদের হত্যার জন্যেই বারবার এমন হামলা করা হত।
রাজনীতির মাঠে অনেক সহিংসতার সাক্ষীই হয়ে থাকেন বিভিন্ন দলের নেতারা। কিন্তু, বর্বর এ গ্রেনেড হামলার মতো ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, শুধু তাদেরই ভোগায় না, উদ্বেগ বাড়ায় জনমনে।