জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতান্ত্রিক রীতি ও মূল্যবোধ জোরালো করার ক্ষেত্রে সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সংসদ সদস্যদের এ লক্ষ্যে জনগণের মাঝে কাজ করে যেতে হবে। যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার কমিশনার ফর স্ট্যান্ডার্ডস এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আকবর খান স্পিকারের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডনের পার্ক প্লাজা ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ হোটেলের লাউঞ্জে এই সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় স্পিকার বলেন, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য, বেকারত্ব ও স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসন করতে না পারলে গণতন্ত্র অর্থবহ হয় না। তাই সরকারের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদেরও এসব সমস্যা নিরসনে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ গ্রহণের কারণে জনগণের গড় আয় ও আয়ু বৃদ্ধি এবং জীবনমানের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যক্রম উলেখ করে স্পিকার বলেন, সংসদ সদস্যদের মাঝে জ্ঞানভিত্তিক সংসদীয় চর্চা জোরালো করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সংসদ সদস্যরা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে এবং সেই সাথে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সিপিএ চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালনের সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী যে দক্ষতা, মনোযোগ ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন, তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন আকবর খান।
সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্যের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের পরিবর্তন হয়েছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পার্লামেন্টসমূহও ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখতে পারে।
এসময় শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অবগত রয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট উভয়ের সাথেই বাংলাদেশের পার্লামেন্ট ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে বলে উলেখ করেন তিনি।