কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে (৫২) তার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুলিতে তাঁর সহযোগী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদও নিহত হন। এ সময় আরও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার বিকেলে নগরীর পাথুরীয়াপাড়া পানুয়া খানকা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহতরা চিকিৎসাধীর রয়েছেন।
জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, শহরের পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর সোহেলের ব্যক্তিগত অফিস। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ সোহেল ও হরিপদকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৯টার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয় বলে পুলিশের চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন জানান।
নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। হরিপদ সাহা (৫৫) নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে চারটায় কুমিল্লা নগরের পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে বসা ছিলেন কাউন্সিলর মো. সোহেল। এ সময় কালো মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পিস্তলের দুটি গুলি তাঁর মাথায়, দুটি বুকে, অন্য চারটি গুলি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। এ সময় আরও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং তার সহযোগী হরিপদ সাহা মারা যান। গুলিবিদ্ধ অন্যরা কুমেকেচিকিৎসাধীন।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন,‘সোহেলের শরীরে অন্তত ১০টি গুলি করা হয়েছে। শনিবার তাঁর সঙ্গে একটি সভা করে এসেছি। সোহেল তাঁর এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। আমরা হত্যার বিচার চাই।’