জয়পুরহাটে কিডনি চক্রের মূলৎপাটনে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদক বিরোধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
সমাবেশে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ১০ ব্যক্তি ও কিডনি চক্রের প্রতারণার শিকার ৫ ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের হাতে নগদ সহায়তা তুলে দেনে।
এ সময় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছি। যারা মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। জয়পুরহাটে কিডনি চক্র রয়েছে। তারা মানুষকে কিডনি বিক্রি করতে প্রলুব্ধ করছে। নিকট আত্মীয় কিডনি দিতে পারে। কিন্তু কিডনি কেনাবেচা হচ্ছে। কেউ যাতে কিডনি বিক্রি করতে না পারে সেই জন্য পুলিশের কড়া নজরদারি থাকবে। এ সময় যারা কিডনি চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের মূলৎপটনে পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেন তিনি।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের সাহসের প্রতীক। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনন্য সৃষ্টি। পদ্মা সেতু নিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করে দেখান। পদ্মা সেতু তার বড় প্রমাণ।
এ সময় মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা আরও ৯০ ব্যক্তি ও কিডনি চক্রের প্রতারণার শিকার ১০ জনকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা জানায় জেলা পুলিশ।
সমাবেশে অনান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট, সহ-সভাপতি গোলাম হাক্কানি, অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
এর আগে দুপুরে জয়পুরহাট আসেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি শহীদ পুলিশ সুপার (এসপি) নজমুল হক পুলিশ লাইনস হাইস্কুলের নামকরণের উদ্বোধন করেন। এছাড়া পুলিশ লাইনসে নবনির্মিত 'গৌরবময় স্বাধীনতা' নামে মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের উদ্বোধন করেন।