দেশে এখন চলছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। শনাক্ত হার ছাড়িয়েছে ১৫ শতাংশ। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের উপরে। ফলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে গত ২ জুলাই পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন, ১ লাখ ৯৭ হাজার। প্রাণহানি ২৯ হাজার ১৬০ জন। একে উদ্বেগজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন মনে করেন, চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়ায় রয়েছে সংক্রমণ। যা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কমতে শুরু করতে পারে।
এখনও যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুতই টিকা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে সুইডেনের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের সুঁচবিহীন টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। মূলত এ টিকা নাক দিয়ে গ্রহণ করা হবে। শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসকের উদ্যোগে সুইডেনের বিজ্ঞানীরা টিকাটির মানব ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।
সুইডেনের ইম্যিউন সিস্টেম রেগুলেশন হোল্ডিং এবি বা আইএসআর মানব ট্রায়ালের জন্য কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিআরও) হিসেবে বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে।
ইতোমধ্যে সুইডেনের বিজ্ঞানীরা প্রাণীর দেহে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে এবং সেখানে তারা শতভাগ সফলতা পেয়েছে। এখন বিজ্ঞানীরা মানব দেহে টিকাটির ট্রায়াল করবেন। আর এ জন্য তারা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।
এদিকে সিআরও হিসেবে কাজ করছেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রথম দফায় দুই শত স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালানো হবে। সেখানে নিরাপদ বলে প্রমাণিত হলে দ্বিতীয় দফায় আরও বেশি মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে। এখানে কোনো সমস্যা পাওয়া না গেলে তৃতীয় পর্যায়ে কয়েক হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হবে।
তিনি আরও জানান, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই পরীক্ষা হতে পারে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, বাংলাদেশে ট্রায়াল হলে আমরা এই টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকব। আমরা সেটা উৎপাদনের অনুমতি পাব। ফলে এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুযোগ হবে।