আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে তা নিশ্চিত হতে কাল বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে ইসির সাথে সংলাপে ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে মত দিয়েছে ১৪টি রাজনৈতিক দল। কয়েকটি দল চায় অর্ধেক আসনে। শুধু আওয়ামী লীগ চায় ৩০০ আসনে ইভিএম।
অন্যদিকে ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তি আমলে নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। দলটিকে নির্বাচনে আনা নিয়েও মাথাব্যথা নেই তাদের।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ইসি। বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। এর বেশি আসনে করতে চাইলে এখনই নতুন মেশিন কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেলক্ষ্যে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বরেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। তবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, এখনো সে সিদ্ধান্ত হয়নি। ইসি তার সক্ষমতা ও যৌক্তিকতা বিবেচনা করে এ মাসের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যেসব আসনে ইভিএমে ভোট হবে, সেখানে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন ছিলো এই কমিশনের কাছে। তিনি জানান, যেহেতু বিএনপি দলটি সংলাপে আসেনি, তাই তাদের কোনো আপত্তিই আমলে নেয়া হচ্ছে না।
এসময় কমিশনার আরো বলেন, কাউকে লোভ দেখিয়ে, সন্তুষ্ট বা অনুরোধ করে ভোটে আনবে না ইসি। এছাড়া বিএনপি চাইলে যে কোনো সময় আলোচনায় আসতে পারে বলেও জানান কমিশনার মো. আলমগীর।