উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে এ আবেদন পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, আজ সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়ে এসেছেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার। সরকারের দিক থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, আবেদন করেছে কি না বলতে পারব না। আমার সঙ্গে শামীমের (খালেদা জিয়ার ভাই) কথা হয়নি আজ। আগে একটি আবেদন তো করাই আছে।
এর আগে এ বছরের মে মাসে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তার পরিবার। তখন সরকার তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ফেরার মাত্র ৬ দিনের মাথায় গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে তাকে পুনরায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। টানা ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন তিনি।
তখন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ বছরের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তখন ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয় তাকে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য তারা সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও তিন দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।