উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা এবং জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এসব অঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কষ্ট বেড়েছে পানিবন্দি লাখো মানুষের।
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রামের ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তাতে পানিবন্দি অবস্থায় আছে জেলার ৯ উপজেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষ। বানের পানি বাড়ায় ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ, তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।
তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, সতীসহ লালমনিরহাটে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। পানিবন্দি জেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে গাইবান্ধায়ও। সদর ফুলছড়ি সাঘাটার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ভোগাই চেল্লাখালী সোমেশ্বরী ও মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে নিুাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে জামালপুরের ৬ উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে আছে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ি উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে নেত্রকোনাতেও। প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে এই এলাকার। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।