অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এতে সংগঠনটির একাধিক শীর্ষ নেতার পাশাপাশি হতাহত হচ্ছেন অনেক বেসামরিক ফিলিস্তিনিও।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ৩১ জন, যার মধ্যে অন্তত ৬ শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলের এই অভিযানের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব, তুরস্ক ও পাকিস্তান।
মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানায় সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলে, সৌদি আরব ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে রয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ আরও বলে, এই সংঘাত বন্ধে যা যা করা দরকার তার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে বলেছে দেশটি।
মিডল ইস্ট মনিটরের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তুরস্কও। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া ওই বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
তুরস্ক আরও বলে, যেভাবে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিক এবং শিশুদের উপরে হামলা হয়েছে তা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এই হামলার পর যেভাবে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক। এই সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করার আগেই আমরা শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।
সৌদি, তুরস্কের মতো এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দেন। এ নিয়ে একটি টুইটও করেছেন তিনি।
টুইটে শাহবাজ বলেন, যদি বর্বরতা এবং দায়মুক্তি কোনো চেহারা থাকতো তাহলে সেটি হতো ইসরায়েল। তারা কোনো ধরণের পরিণতির পরোয়া না করেই ফিলিস্তিনিদের টার্গেট করে চলেছে। ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানায় পাকিস্তান।
এদিকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির ‘মিডল ইস্ট পিস প্রোসেস’ বিষয়ক দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সকল পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান।