প্রথমার্ধেই দুই গোল করে এগিয়ে রইলো ডেনমার্ক। জয়ের পথে নিজেদের কাজটা অনেকাংশে সেরে রাখলো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিতও দেয় চেক রিপাবলিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হয়নি। ২০১২ সালের মতো এবারও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো চেকদের। ডেনমার্ক ২-১ গোলে চেক রিপাবলিককে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
ডেনমার্ক ১৯৯২ সালে একবারই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নিজেদের ঘরে নিতে পেরেছে। এবার অনেক দিন পর আবারও সেই সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। এছাড়া চেকদের বিপক্ষেই আগের দুইবারের ইউরোতে হার দেখেছিল ডেনিশরা। ২০০৪ সালে সবশেষ শেষ আটের লড়াইয়ে ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। এবার অন্তত ‘প্রতিশোধও’ নিতে পেরেছে ডেনিশরা।
বাকি অলিম্পিয়া স্তাদিয়োনোতে ম্যাচের শুরুর দিকে ডেনমার্ক এগিয়ে যায়। ৫ মিনিটে লারসেনের নিখুঁত কর্নার থেকে ফাঁকায় ডিলেনি লাফিয়ে উঠে হেডে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন। গোলকিপার ভ্যাসিক ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি।
১৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ডেনিশরা। কিন্তু লারসেনের ক্রস থেকে ডিলেনির শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এক গোলে পিছিয়ে থেকে চেক রিপাবলিক ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় থাকে।
২২ মিনিটে চেকদের হোলসের আড়াআড়ি শট গোলকিপার শুয়ে পড়ে রুখে দিলে আর শোধ দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে পাল্টা-পাল্টি আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠে। বল দখলে প্রায় সমানে সমান দুইদল।
৩৭ মিনিটে ডেনিশদের আরও একটি আক্রমণ। যদিও ডামসগার্গের শট গোলকিপার প্রতিহত করেন। কিন্তু ৫ মিনিট পর ঠিকই ডেনমার্ক ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। ৪২ মিনিটে মেহলের ক্রসে ডোলবার্গ বল শূন্যে থাকা অবস্থায় পা চালিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতির পর শুরুর দিকে চেক রিপাবলিক একটি গোল শোধ দিয়েছে। ৪৯ মিনিটে কফলের ক্রসে পাত্রিক শিক ভলিতে জাল কাঁপান। ৬৯ মিনিটে কালাসের শট গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দী না করলে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারতো চেকরা।
ডেনিশরাও এই অর্ধে চেষ্টা করেছে ব্যবধান বাড়াতে। ৭৮ মিনিটে পলসনের শট গোলকিপার ফিরিয়ে দেন। শেষ দিকে চেষ্টা চালিয়ে গেছে চেকরাও। তবে ডেনিশদের জমাট রক্ষণের কারণে সফল হতে পারেনি। শেষ পরযন্ত ব্যর্থ মনোরথে ম্যাচশেষে ইউরো থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।