দেশে মহামারি করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি থাকায় লকডাউন ফের এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। মৃত্যুর সংখ্যা এখনো একশ’র বেশি। তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনাও চলছে। তবে কতদিন বাড়তে পারে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ৭ দিন বাড়তে পারে। শিগগিরই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনায় যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে, বিধিনিষেধ বাড়ানো ছাড়া সরকারের কাছে অন্য কোনো পথ খোলা নেই। এদিকে, মানুষের জীবন রক্ষায় বিধিনিষেধ অন্তত আরও সাতদিন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবারের পরিস্থিতি ভয়ানক। কারণ এবারের যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট তা অত্যন্ত ভয়ানক। যারা ভেবেছিলেন, করোনা শুধু বড়লোকদের সংক্রমিত করে, তারা এবার বুঝতে পারছেন করোনা কাউকেই ছাড়ে না। এই ভ্যারিয়েন্ট শহর-গ্রাম সর্বত্র দ্রুত ছড়ায়। এই ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষা করতেই বিধিনিষেধ আরও সাতদিন বাড়াতে হবে। বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামও। গত ২৮ জুন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৭ দিন পর এই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। নতুন করে ৭ দিন সময় বাড়ানো হলে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।