বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছর দেশের অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জের বছর। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব আয়ের আওতা ও পরিমাণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো, সুশাসন নিশ্চিত করার মতো বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সরকারকে। অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সুচিন্তিতভাবে ঠিক করার পরামর্শ দেন তারা।
দু’বছরেরও বেশি সময় করোনার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত বিশ্ব অর্থনীতি। সেই ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজার অস্থির হয়ে ওঠে। দেশে-দেশে বেড়ে যায় মূল্যস্ফীতি, যার প্রভাবে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। মূল্যস্ফীতির এই চাপ পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। ভোগ্যপণ্যসহ সবধরণের পণ্যের বাজার বেশ চড়া। এই চড়া দামের চাপে হিমশিম খাচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষ।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা চলতি বছরের বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কার্যকর ও বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণসহ বেশকিছু বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানোর তাগিদ দেন সিপিডি'র সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এফবিসিসিআই'র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষাপটে নতুন বছরের অর্থনীতি টেকসই করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা।