স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সিনোফার্মের ছয় কোটি টিকা ক্রয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে আগস্টেই আসবে এক কোটি ডোজ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সিডিসি ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ‘করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে ভ্যাক্সিনের ব্যাপক চাহিদার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানালে তিনি দ্রুতই চীনের সিনোফার্মের ছয় কোটি ভ্যক্সিন কেনার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিনোফার্মের ছয় কোটি ভ্যাক্সিন ক্রয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সময়মতো টাকা ছাড় দিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন ধাপে ধাপে ক্রয়কৃত সিনোফার্মের ছয় কোটি টিকা দেশে আসতে থাকবে। অন্যান্য মাধ্যমেও আমাদের আশানুরূপ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দেশে চলমান টিকা কার্যক্রমের গতি চলমানই থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, কর্মহীন লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। এ কারণে এখনই আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি।
বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বিল্লালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ, বিএসএমএমইউ এর ভিসি অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব এম এ আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। মৃত একটু বেশি আছে। এই সংক্রমণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাস-ট্রেন গণপরিবহণে গাদাগাদি করে চললে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পৌনে দুই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কোটি কোটি লোক নিবন্ধন করেছে। আমরা সবাইকে একবারে টিকা দিতে পারব না। পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে টিকা দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সময় বিরোধী দলের কাউকেই মানুষের পাশে দেখিনি। শুধু টেলিভিশনে বসে সমালোচনা করতে দেখেছি। সমালোচনা করা অনেক সহজ। কাজ করা কঠিন। আজ স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারগণ আক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু করোনার চিকিৎসা নয়, অন্য রোগীর চিকিৎসাও দিচ্ছেন তারা।