ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়েও সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতাকে গণভবনে ডেকে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এ সময় বিএনপির কোনো উসকানিতে পা না দিতে দলের নেতাদের সাবধান থাকার পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক দল না হলেও দেশ গণতান্ত্রিক ধারায় এগুচ্ছে। সেক্ষেত্রে আন্দোলনকে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু আন্দোলনের নামে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে সমুচিত জবাব দিতে হবে। আন্দোলনের নামে এদেশে আর ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেওয়া হবে না। এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা (বিএনপি) পানি ঘোলা করে ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না’।
মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিতর্কিতদের জায়গা না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যেন কোনো ভূমিদস্যু, জামায়াত, বিতর্কিত ব্যক্তি ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে- ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’।
বৈঠকে করোনা মহামারির সময়ে দেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়াসহ যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। করোনাকালে মহানগর আওয়ামী লীগের নানা কর্মকাণ্ডের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান নেতারা। এ সময় তারা করোনাকালীন সময়ে নগর আওয়ামী লীগের মৃত্যুবরণকারী নেতাদের নামের তালিকা এবং যারা সহযোগিতা চেয়েছেন তাদের আবেদনপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে দেওয়া হয়।’