অর্ধশত বছর পর আবারও চন্দ্রাভিযান শুরু করছে নাসা। সোমবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় বিকেলের পর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়বে অত্যাধুনিক এসএলএস রকেট বুস্টার। অভিযান সফল হলে ২০২৫ নাগাদ প্রথমবারের মতো চাঁদের বুকে হাটবেন কোনো নারী।
চন্দ্র জয়ের অর্ধশতাব্দী পেরিয়েছে। ১৯৬১ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত গ্রিক দেবতা অ্যাপোলোর নামে চন্দ্র মিশনে ৬ বার চাঁদের বুকে পা রাখে মানুষ। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর প্রযুক্তির উন্নতির ফলে পৃথিবী থেকেই পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। ঝুঁকি ও খরচ বিবেচনায় পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিতে আর মানুষ পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি। তাই বন্ধ করে দেয়া হয় চন্দ্রমিশন।
তবে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মিশন সফল হলে চাঁদই হতে পারে মহাকাশে নাসার প্রথম যাত্রাবিরতির স্থান। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদের বুকে হাঁটবেন কোনো নারী। এবার অ্যাপোলোর জমজ বোন ও চাঁদের দেবী আর্টেমিসের নামে রাখা হয়েছে মিশনের নাম।
এ মিশনে ব্যবহার করা হবে সবচেয়ে আধুনিক রকেট বুস্টার। এসএলএস রকেটটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে ওড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এই রকেট মূলত নভোচারীদের বহনকারী ওরাইওন ক্যাপসুলকে নিয়ে চাঁদের কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করবে। তখন সময় ক্যাপসুলটি তাপ ও চাপ কতটা সইতে পারবে, তা দেখতেই এই পরীক্ষা।
আর্টিমেস-১ উৎক্ষেপণ সরাসরি দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত থাকবেন। আর্টেমিস অভিযান সফল হলে আরও দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে থাকতে পারবে মানুষ। যার সুফল ২০৩০ সালের মঙ্গল অভিযানেও মিলবে বলে মনে করছে নাসা।