অভিনেত্রী সোনালী ফোগাটের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে গোয়ার একটি রেস্তোরাঁ থেকে টালমাটাল অবস্থায় বের হয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি সিসিটিভ ফুটেজে সেই দৃশ্যই দেখা যায়। আর এবার আরও একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসলো। যেখানে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় নাচের জায়গায় অনেকটা জোর করে কিছু পান করানো হচ্ছে অভিনেত্রীকে।
ছড়িয়ে পড়া ওই ফুটেজে দেখা যায়, সোনালীকে জোর করে পানীয়টি খাওয়াচ্ছেন সুধীর সাংওয়ান। এ ঘটনায় তাকে এবং এক সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গোয়ার আঞ্জুনার কার্লিস রেস্তোরাঁ থেকে অভিনেত্রীকে বার থেকে বের হতে সাহায্য করছেন সুধীর। এই ফুটেজের বিষয়ে আগেই জানিয়েছে গোয়া পুলিশ।
বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ফুটেজ থেকে এটা স্পষ্ট গোয়ার রেস্তোরাঁয় জোর করে পানির বোতল থেকে পানীয় খাওয়ানো হচ্ছে সোনালীকে। রাসায়নিক মাদক মেশানো পানিও খাওয়ানো হয়েছিল তাকে।
এর আগে সুধীর সাংওয়ান ও তার বন্ধু সুখবিন্দরের সঙ্গে গোয়ায় গিয়েছিলেন সোনালী। সেখানে তাকে কার্লিস রেস্তোরাঁয় পার্টিতে নিয়ে যায় দুই সঙ্গী। তারপর রাতে হোটেলে নেয়া হয়। পরদিন ভোরে আঞ্জুনার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর পর প্রাথমিকভাবে বলা হয়, হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে সোনালীর। তবে পরিবারের দাবি ছিল খুন করা হয়েছে তাকে। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ।
সোনালী অভিনয়ের বাইরে রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। ২০১৯ সালে হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আদমপুর থেকে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বী কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে পরে প্রতিদ্বন্দ্বী নেতার বিজেপিতে যোগ দেয়ায় ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠে তাদের মধ্যে।
সোনালী ২০০৬ সালে অভিনয়ে পা রাখেন। এর ২ বছর পরই রাজনীতিতে অভিষেক করেন। ২০১৬ সালে ‘আম্মা’ সিরিয়ালে তার অভিনয় সবার নজরে পড়ে। আর শেষবার ছোটপর্দায় ‘বিগ বস ১৪’-তে দেখা যায় তাকে। সূত্র: এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা