আর মাত্র ৬১টি রান করলে চতুর্থ দিনেই লর্ডস টেস্ট জিতে যাবে ইংল্যান্ড। হাতে আছে পাঁচটি উইকেট। যদিও শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শেষে হারের মুখেই দাঁড়িয়ে ছিল দলটি। কিন্তু শনিবার প্রথমে স্টুয়ার্ট ব্রড বল হাতে এবং শেষে জো রুট ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
শুধু ম্যাচেই ফেরালেন না, জয়ের রাস্তাও পরিষ্কার করে দিলেন সদ্য সাবেক অধিনায়ক রুট। অবশ্য তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন বর্তমান অধিনায়ক বেন স্টোকস। তাই বড় কোনো অঘটন না ঘটলে, রোববার টেস্ট জিতেই মাঠ ছাড়বেন রুটরা।
এর আগে শুক্রবার চার উইকেটে ২৩৬ রান তুলে দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেলের দাপটে বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিল কিউয়িরা। কিন্তু শনিবার স্টুয়ার্ট ব্রড তোপে মিচেল ফেরেন ১০৮ রান করে। আর জেমস অ্যান্ডারসন ফিরিয়ে দেন ব্লান্ডেলকে। সঙ্গী শতরান করলেও পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতেই থেমে যায় তার ইনিংস।
ব্রডের এক ওভারে তো তিন তিনটি উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। মূলত সেখানেই ম্যাচ ঘুরে যায় ইংল্যান্ডের দিকে। ৮৩তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন মিচেল। পরের বলে রান আউট হন প্রথম ইনিংসে রান পাওয়া কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। আর ওভারের পঞ্চম বলে কাইল জেমিসনকে বোল্ড করেন ব্রড।
এরপর জিমি এসে ব্লান্ডেলকে তুলে নিলে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ২৮৫ রানেই। যাতে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় ২৭৭ রান।
চতুর্থ ইনিংসে এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ফিরে যান জ্যাক ক্রাউলি। মাত্র ৯ রান করে আউট হন তিনি। অন্য ওপেনার অ্যালেক্স লিস করেন ২০ রান। দুই ওপেনারকেই ফেরান জেমিসন। রান পাননি ওলিয়ে পোপও। মাত্র ১০ রান করেন এই টপ অর্ডার। বোল্টের সহজ শিকার হন পোপ। এরপর জনি বেয়ারস্টোও আউট হন ১৬ রানে।
ফলে মাত্র ৬৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে তখন ফের হারের শঙ্কা! সেই সময় প্রাক্তন এবং বর্তমান অধিনায়কের ব্যাটে প্রাণ ফিরে পায় ইংল্যান্ড। জো রুট এবং বেন স্টোকস মিলে ৯০ রানের জুটি গড়েন। স্টোকস ৫৪ রান করে ফিরলেও এখনও ক্রিজে রয়েছেন ৭৭ রান করা রুট। উইকেটরক্ষক বেন ফোকসকে (৯) সঙ্গী করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।