শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন: সংসদে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১

মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের দেওয়া ঘর নিয়ে অনিয়মের তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন কেন বন্ধ করেছে তা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন। তাদের তো তদন্ত বন্ধ করার কথা না। তদন্ত চালু রাখতে হবে। দেখতে হবে এসব যারা ভাঙলো, তারা কারা; তাদের উদ্দেশ্য কী ছিলো?’

‘দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে আমরা আর তদন্ত করবো কী, প্রধানমন্ত্রী একথা বলেছেন’ এক সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য প্রসংগে সংসদ নেতা বলেন, ‘যে ভেঙেছে তার নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য ছিলো। এখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তো এই কথা বলার কথা না। এই কথা যে কর্মকর্তা বলেছে যদি আমি জানতে পারি তাহলে তার ব্যাপারেও খোঁজ নিতে হবে। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলবো যে ৩০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকটা তদন্ত তাদের করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে। এটাই আমার কথা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গরিবকে ঘর করে দেবো; সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে। এখন কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে ঘর করে দিচ্ছি যাতে সহজে কেউ ভাঙতে না পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বলতে গেলে ১৯৯৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কম করে হলেও ১০ লাখ মানুষকে আমি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এবারের যে ঘটনাটি ঘটেছে, এক সংসদ সদস্য প্রশ্ন তুলেছেন, আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এটা আমরা তদন্ত করছি। নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি আর দশ-বারোটি জায়গায় অতিবৃষ্টি হলো, সেই বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিলো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৩০০টি জায়গায় যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে। পুরো তদন্ত করে দেখা গেছে, সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে। আমি আগামীতে সংসদে ছবি দেখাবো। ইটের গাঁথুনির পিলার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা তো দুর্নীতির জন্য হয়নি। এটা কারা করলো? কারা করেছে তদন্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু অ্যারেস্ট হয়েছে, অন্যদেরও করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ