শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২, ২০২২

‘দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপি ৩১ জুলাই ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা পুলিশের প্রতি গুলি ছুঁড়েছে এবং সেই গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা একজন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় বিএনপি অফিসে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সদস্য যে যুবক মারা গেছেন, ডাক্তার বলছেন যে প্রাথমিক রিপোর্টে বলছে হেড ইনজুরির কারণে অর্থাৎ ইট-পাটকেলের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। তবে বিএনপি লাশ সৃষ্টি করতে চায়, লাশ সৃষ্টি করার অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব যেভাবে উস্কানিমূলক এবং অশোভন ভাষায় কথা বলেছেন এজন্য আপনাদের সামনে কথা বলার জন্য হাজির হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য সময়ে সময়ে গুজব রটানো এবং ক্রমাগতভাবে মিথ্যাচার করা। এই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য। যখন আগস্ট মাস আসে, তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টাগুলো বেড়ে যায়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাস শুরুর আগে গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি যে সেখানে মিছিল সমাবেশ করবে সেটি পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেনি। এরপরও তারা যাতে মিছিল সমাবেশ করতে পারে সেজন্য পুলিশ সহযোগিতা করেছে। যখন তারা দোকানপাট ভাংচুর করা শুরু করলো এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করলো তখন পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছে। শুধু ইট-পাটকেল নিক্ষেপ নয়, বিএনপি পুলিশের প্রতি গুলি ছুঁড়েছে। বিএনপির ছোঁড়া গুলিতে ভোলায় কর্মরত ওয়াচার কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া একজন পুলিশ সদস্যকে ধরে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তারা মারধর করে।

আজকে মির্জা ফখরুল সাহেব উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনো রাস্তায় নামেনি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের রাজপথ দখল করার কথা আমরা বহু আগে থেকে শুনে আসছি। আমরা সবাই রাজপথে নামলে কি দাঁড়াবে সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। আমরা এখনো আমাদের নেতাকর্মীদের সেই আহ্বান জানাইনি। তবে আমি নেতাকর্মীদেরকে অনুরোধ জানাই বিএনপি দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

বিএনপির হরতাল ডাকার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি অতীতেও হরতাল ডেকেছিলো, তখন দেশব্যাপী যানজট হয়েছে। হরতাল ডেকে তারা বুঝতে পেরেছে তাদের ডাকে কেউ সাড়া দেয় না। আর আগের মতো তারা অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখার অপচেষ্টা চালালে মানুষই বরং তাদেরকে প্রতিহত করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ