সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে গেল ভিয়েতনাম

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২১

বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে ভিয়েতনাম। গত দশকের প্রায় বেশিরভাগ বছরই ধারাবাহিকভাবে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে ২০২০ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকের জায়গায় উঠে এসেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।

শুক্রবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ-২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবের ব্যাপারে পরিসংখ্যানগত ধারণা দিতে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানির এই চিত্র তুলে ধরেছে ডব্লিউটিও।

এতে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিয়েতনাম। অন্যদিকে, বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারকের স্থান ধরে রেখেছে চীন।

ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রফতানি ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ থাকলেও ২০২০ সালে তা কমে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

একই সময়ে গত বছর বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে ভিয়েতনামেররপ্তানি আগের বছরের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দশকের তুলনায় দেখা যায়, ২০১০ সালে বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। একই বছর ভিয়েতনামের রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছর ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ৭ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১৫ শতাংশ।

গত বছর বাংলাদেশের বার্ষিক তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, ওই বছর ভিয়েতনামের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার। তবে বিশ্বে তৈরি পোশাকের রপ্তানির শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। ২০১৯ সালে বিশ্ব বাজারে চীনের তৈরি পোশাকের রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ হলেও গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশে।

পোশাক রপ্তানির হিসেবে বিশ্ব বাজারে চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারকের জায়গায় আছে ভিয়েতনাম। পোশাক রপ্তানির এই তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে আছে বলে ডব্লিউটিওর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক রপ্তানির পরিসংখ্যানকে যদি দেশভিত্তিক না ধরা হয়, তাহলে তৈরি পোশাকের বৃহত্তম রপ্তানিকারক হিসেবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ তৃতীয়।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ